চট্টগ্রাম আদালত পাড়ার ৩৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে: জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকার সাড়ে তিনশ অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2022, 04:14 PM
Updated : 30 June 2022, 04:14 PM

আদালত পাড়ার পাহাড়ের কয়েকটি স্থানে মাটি ধসের পর বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল।

তারা দ্রুত পাহাড় ধস ঠেকাতে দেয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এজন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।

পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমানা ঘেঁষে আইনজীবীদের যে ভবনগুলো হয়েছে সেগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং কতটা জায়গায় ফাটল ধরেছে তা আপনারা দেখেছেন। রিটেনশন ওয়ালের ফাটল এবং স্যুয়ারেজ লাইনের পানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এলাকা সয়লাব হচ্ছে। এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই পাহাড়ের তিন থেকে চারটি জায়গায় গত বর্ষায় ধস হয়েছে। এবং আরও বেশ কিছু জায়গায় ধস সম্ভাবনা রয়েছে।”

এর আগে কোর্ট হিলের অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডর সমিতির সেমিপাকা টিনশেড স্থাপনার পিছনে পাহাড়ের মাটি ধস হওয়ার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিদর্শক দলটি।

এসময় সরকারি কর্মচারী সমিতি ক্যান্টিনের পিছনের অংশে থাকা একটি টিনশেড ভাতের হোটেলের মালিককে দ্রুত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

নগরীর অন্যান্য পাহাড়ের মত এখানকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে প্রায় সাড়ে তিনশ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। আমরা এটির তালিকা করেছি। এই সাড়ে তিনশ অবৈধ স্থাপনাকে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটাকে উচ্ছেদ করে দিব। যেহেতু এখানে সরকারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো রয়েছে এই জায়গা আমরা কোনো অবৈধ স্থাপনা, অবৈধ বসতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা রাখতে দিব না।”

‘কোর্ট হিল’ বা ‘পরীর পাহাড়ে’ আইনজীবীদের নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে আইনজীবী সমিতি ও জেলা প্রশাসনের বিরোধ চলছে গত প্রায় নয় মাস ধরে।

বর্তমানে এই পাহাড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নতুন আদালত ভবন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন এবং আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনসহ বেশ কিছু সরকারি কার্যালয় রয়েছে।

পাহাড়ে নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করতে এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তাতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর পরীর পাহাড়কে প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা (হেরিটেজ) হিসেবে সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের প্রস্তাব বিবেচনা করার কথাও জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।