বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে এ অভিযোগ জমা দেন। এতে হাসপাতালটির হিসাবরক্ষক মো. ফোরকানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবিযোগ করা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, “জালিয়াতির অভিযোগে আমরা চারজনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছি। দুদক কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।”
জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আটটি আইসিইউ শয্যাসহ অন্যান্য সামগ্রীর পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল মামলার কারণে বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে দুদকের করা মামলা শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিলটি বকেয়া রয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসাপাতালটিতে ২০২০ সালে আইসিইউ শয্যাগুলো বসানো হলেও বিল বকেয়া ছিল। হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকান ওই বিল জালিয়াতির মাধ্যমে ছাড় করানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ধরা পড়ে কর্মকর্তাদের কাছে।
দুদক কর্মকর্তা নাজমুস সাদাত বলেন, “আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। এটি যাচাই-বাছাই হবে এবং দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।”