চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৯ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে খাঁচা থেকে ডিম বের হাতে তৈরি ইনকিউবিটরে সংরক্ষণ করে অজগর ছানা ফোটানোতে সফলতা পেয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় একবছরও ১৫টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছিল, ৬৫ দিন পর ১১টি ছানার জন্ম হয়।”
২০১৯ সালে প্রথমবার ৩৫টি ডিম সংরক্ষণ করে ২৬টি এবং গত বছর ৩১টি ডিম সংরক্ষণ করে ২৮টি অজগর ছানার জন্ম নিয়েছিল।
চিকিৎসক শুভ জানান, ডিমগুলো খাঁচায় থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। সেটি চিন্তা করে ২০১৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে হাতে তৈরি ইনকিউবিটরে সংরক্ষণ করে বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। প্রথমবার সফলতা পাওয়ায় পরের দুইবারও একই কায়দায় অজগর ছানারগুলোর জন্ম দেওয়া হয়েছে।
জন্ম নেয়া অজগর ছানাগুলো আগামী ১৫ দিন পর চামড়া বদল করবে। এরপর ধীরে ধীরে খাবার দেওয়া হবে। তারপর আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে সাপ ছানাগুলো জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
শুভ জানান, প্রথমবার জন্ম নেওয়া ছানাগুলো প্রায় তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। গতবারেরগুলো এক মাসের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-