বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (সিসিসি) কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
রেজাউল করিম বলেন, “চট্টগ্রাম নগরীর পানি নিষ্কাশনের সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। যে সকল ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার প্রকোপ বেশি দৃশ্যমান হয়েছে, সেই স্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
“জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কমিটি কাজ শুরু করেছে।”
ওয়ার্ড পর্যায়ে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা চিহ্নিত করে দুই দিনের মধ্যে কমিটিকে অবহিত করতে কাউন্সিলদের নির্দেশ দেন মেয়র।
জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে যেখানে বাঁধ ও মাটি ভরাট করা হয়েছে, সেসব স্থানে বাঁধ অপসারণ এবং মাটি সরিয়ে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করারও আহ্বান জানান মেয়র।
“কাউন্সিলররা নিজস্ব উদ্যোগে এক্সক্যাভেটার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়ে স্ব স্ব ওয়ার্ডের নালা নর্দমা-খালের আবর্জনা দ্রুততার সাথে পরিষ্কার করবেন।
“জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটা সময় প্রয়োজন হবে, তা এখন ভাবার বিষয় নয়। এখন প্রয়োজন চলমান বর্ষা মৌসুমে আর যেন জনগণকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে বিষয়টি চিহ্নিত করা।”
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, “আপনারা এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এলাকার মানুষের কোনো ভোগান্তি হলে সবচাইতে বেশি অপবাদ ও সমালোচনা আপনাদের দিকে ধাবিত হয়। এই অপবাদ থেকে রেহাই পাবার জন্য আপনাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী।