মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। তাতে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে পূর্বাভাসে।
আষাঢ়ের প্রথম দিন বুধবার থেকেই চট্টগ্রাম নগরীতে বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবারও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া অঝোর ধারা ঝরেছে শুক্রবার দিনভর।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় নগরীতে যানবাহন চলাচলও কম। দুপুরে মসজিদগামীরা ভোগান্তিতে পড়েন বৃষ্টির কারণে।
নগরীর আগ্রাবাদে এলাকায় বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় পানি ঢুকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেখানকার চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও স্বজনরা।
শুক্রবার সকালে নগরীর গোয়াছি বাগানসহ দুয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয় নগরীর কয়েকটি স্থানে।
বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়ার কে বি আমান আলী রোড, ফুলতলা, বড় মিয়া মসজিদ, ডিসি রোড, নুর বেগম মসজিদ, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলাসহ কয়েকটি এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বার্তায় জানানো হয়েছে।