চীন থেকে আসা একটি কন্টেইনার বুধবার পরীক্ষা করে বিষয়টি উদঘাটিত হয় বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ চিনির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি ঘন চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সালাহউদ্দিন রিজভী জানান, ঢাকার বংশাল রোডের ডিএসএসএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সোডা অ্যাশের ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। ‘এইচ আর হীরা’ নামের জাহাজে করে কন্টেইনারটি গত ১৮ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
আমদানিকারক পণ্য খালাসের উদ্যোগ না নেওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি ডিপোতে রাখা কন্টেইনারটির কায়িক পরীক্ষা করে।
কাস্টমস কর্মকর্তা রিজভী বলেন, কন্টেইনারের ভেতরে থাকা বস্তার ভেতরে বিশেষ কৌশলে রাখা আরেকটি প্লাস্টিকের ব্যাগের সন্ধান মেলে। সেখানে ঘন চিনির সন্ধান পাওয়া যায়, যা আমদানি করা নিষিদ্ধ।
২০০৬ সালে ঘন চিনিকে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অন্য পণ্যের নামে এই রাসায়নিক আমদানির ঘটনা প্রায়ই ধরা পড়ে। খরচ কমাতে মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক জাতীয় খাদ্যে ঘন চিনি ব্যবহার করেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।
ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাবার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এই রাসায়নিক ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিলতা, হৃদরোগের মত জটিল রোগের কারণ হতে পারে।