টাকা নিয়ে আত্মগোপন: ওয়ালটনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকের গোডাউন থেকে মালামাল উদ্ধার

ডিলারদের পণ্য দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের চট্টগ্রাম এরিয়া ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেনের ভাড়া করা গোডাউন থেকে এবার প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2022, 05:11 PM
Updated : 19 May 2022, 07:28 AM

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল পাবনা সদরে তার হেমায়েতপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে কলসি থেকে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ফারুকের স্ত্রী নূরজাহান বেগমকে।

তবে ফারুককে এখন পর্যন্ত ধরা যায়নি। টাকা ও মালামাল আত্মসাতের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ‘নিশ্চিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি জাহেদুল কবির।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নন্দকানন এলাকার একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়।”

ওসি বলেন, “নূরজাহান বেগমকে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। গোডাউনটি ফারুক ভাড়া নিয়েছিলেনে, সেখানে তিনি বিভিন্ন সময়ে মালামাল রাখতেন। তার স্ত্রীও বিষয়টি জানতেন।

“নূরজাহান এক ব্যক্তির নাম বলে তার গোডাউনে কিছু মালামাল রাখার তথ্য দিয়েছিল। সে তথ্যের ভিত্তিতে গোডাউন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ওয়ালটনের বিভিন্ন মালামাল পাওয়া যায়।”

এসবের মধ্যে রয়েছে- ডিস্ট্রিবিউশন বক্স, এলইডি টিউব, বোলিং লাইট, প্রিজম লাইট, লাক্সার সিরিজ, মুন লাইট, সার্কিট ব্রেকার, সার্ফেস প্যানেল লাইট, সেইফ পিয়ানো সুইচ সকেট, পিপল সিরিজ, ফ্লাড লাইট, সুপ্রিম লাইট, পিভিসি টেপ ও টেস্টার।

ওয়ালটনের এরিয়া ব্যবস্থাপক ফারুকের ফোন সপ্তাহ খানেক বন্ধ পাওয়ার পর ওই সময় কোম্পানিতে টাকা জমা না হওয়ায় তার ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

পরে ডিলারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালামাল না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার অভিযোগে গত ২২ এপ্রিল ওয়ালটনের আঞ্চলিক বিক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নবী আলম বাদী হয়ে ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নগরীর পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ফারুক। গত ২০ এপ্রিল তিনি বাসার মালামালও সরিয়ে ফেলেছেন। এমনকি বাড়ির মালিককেও কিছু জানাননি।

পরে বাসার সিসি ক্যামেরা দেখে মালামাল নেওয়া ট্রাকের নম্বর সংগ্রহ করা হয়। সেই সূত্রে পাবনা থেকে ফারুকের স্ত্রী নূরজাহানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদী হাসান।  

আরও পড়ুন