কাদায় আটকে দলছুট সেই বন্যহাতি গেল ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে

কাদায় আটকে দলছুট হয়ে যাওয়া সেই বন্যহাতিটিকে অবশেষে ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে; যেখানে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2022, 03:28 PM
Updated : 14 May 2022, 03:28 PM

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় লোকালয়ে আসার নয় দিনের মাথায় শুক্রবার বিকালে অসুস্থ হাতিটিকে সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার সেখানে দুর্বল হয়ে যাওয়া হাতিটির চিকিৎসা শুরুর কথা জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।

রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ছয় দিনের ব্যবধানে দু’বার আনুমানিক ১২ বছর বয়সী মাদি বন্যহাতিটি কাদায় আটকা পরেছিল। প্রথমবার বনে ফিরলেও দ্বিতীয়বার দলের সদস্যরা এসেও ফেরাতে পারেনি তাকে।

এরপর থেকে অসুস্থ হয়ে লোকালয়েই ছিল সেটি। এরমধ্যে শেষ ২-৩ দিন খেতে না পারায় ক্রমশ দুর্বলও হয়ে পরছিল বলে জানান বনকর্মীরা।

হাতিটিকে সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার রাতেও চেষ্টা করেছিল বন বিভাগের কর্মীরা। তবে আশেপাশে হাতির পাল থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের ফরেস্টার মো. মাসুদ কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতেই আমরা হাতিটিকে সরিয়ে নিতে গিয়েছিলাম। প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আশেপাশে বন্যহাতির পাল চলে আসে। তখন মাহুতের পরামর্শে আমরা সবাই ফিরে আসি।

“এরপর শুক্রবার সকাল ৮টায় আবার কাজ শুরু করি। এসময় হাতিটি বারবার উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছি। ১১টার সময় হাতিটিকে ট্রাকে তোলা হয়। শুক্রবার বিকাল ৫টায় সাফারি পার্কে পৌঁছাই।”

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি বন্যহাতি। তাকে বশে আনা খুবই কঠিন। হাতিটিকে সাফারি পার্কে আলাদা করে রাখা হয়েছে। কারণ এটি বন্য পরিবেশে থেকে অভ্যস্ত।

“হাতিটিকে স্যালাইন ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা চলছে, আগের থেকে অবস্থা কিছুটা ভালো বলেই মনে হচ্ছে। খাবারও খেতে শুরু করেছে। তবে হাতিটিকে নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। বন্য হওয়ায় এটি যে কোনো সময় উত্তেজিত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।”

এরআগে ২৯ এপ্রিল রাতে প্রথমে উপজেলার কোদালা চা বাগান সংলগ্ন তৈলাভাঙা বিলে কাদায় আটকা পরে বন্য হাতিটি। পরদিন উদ্ধারের পর ৪ মে আবার চা বাগানের পূর্ব পাশে জামিলাবাদের একটি বিলে কাদায় আটকে যায়। সেখান থেকে তুলে এরপর চিকিৎসা শেষে হাতিটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সেটি পালের সঙ্গে বনে ফেরেনি।

বুধবার বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ এবং বন বিভাগের ঢাকা ও চট্টগ্রামের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা হাতিটিকে দেখে যান। পরে এটিকে সাফারি পার্কে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।