কোটি টাকা ‘হাতিয়ে’ লাপাত্তা ওয়ালটনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, স্ত্রী গ্রেপ্তার

ডিলারদের পণ্য দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পর ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের চট্টগ্রাম এরিয়া ব্যবস্থাপকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৩৩ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2022, 03:41 PM
Updated : 1 May 2022, 03:41 PM

এসময় ফারুক হোসেন নামের ওই ব্যবস্থাপকের স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ফারুককে এখন পর্যন্ত ধরা যায়নি।

শনিবার নুরজাহানকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তারের সময় তার বাসার কলসি থেকে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদী হাসান।

এ বিষয়ে ওয়ালটনের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোম্পানির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সপ্তাহ খানেক এরিয়া ব্যবস্থাপক ফারুকের ফোন বন্ধ পাওয়ার পর এবং ওই সময় কোম্পানিতে টাকা জমা না হওয়ায় তার ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে এলে গত ২২ এপ্রিল ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ নগরীর কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দেয়।

এসআই মেহেদী জানান, টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আঞ্চলিক বিক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নবী আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরপর পুলিশ খোঁজখবর করতে নেমে জানতে পারে গত ২০ এপ্রিল ফারুক চট্টগ্রাম নগরীর বাসার মালামালও সরিয়ে ফেলেছেন। এমনকি বাড়ির মালিককেও কিছু জানাননি। নগরীর পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “তার (ফারুক) কোনো সন্ধান না পেয়ে বাসার সিসি ক্যামেরা দেখে মালামাল নেওয়া ট্রাকের নম্বর সংগ্রহ করা হয়। সেই নম্বরের সূত্রে চালকের সন্ধান নিয়ে কোথায় মালামাল নিয়ে গেছে, সেই তথ্য পাওয়া যায়।”

সে অনুযায়ী শনিবার পাবনা জেলা সদরের হেমায়েতপুরে তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফারুকের স্ত্রী নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এরিয়া ম্যানেজার ফারুক হোসেনের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়ালটনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফারুক নগরীর শাহ আমানত মার্কেট ও আশেপাশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের ওয়ালটন ডিলারদের মালামাল দেয়ার জন্য অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করেও দেননি। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকান মালিককে প্রলোভন দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করেন।

এসআই মেহেদী জানান, আত্মসাতের পরিকল্পনা করে ফারুক বিভিন্ন সময়ে ডিলারদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে তার পুরোটা কোম্পানিতে জমা দেননি। সেসব টাকা তার স্ত্রী নুরজাহানের কাছে গচ্ছিত রাখেন। কিন্তু ১৩ থেকে ২০ এপ্রিল কোনো টাকা জমা না দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে চট্টগ্রামের বাসা ছেড়ে চলে যান। এরপরই তার খোঁজ শুরু হয়।

এদিকে রোববার আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার নুরজাহানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই এসআই।