চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটির মসজিদে বোমা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর প্রথম দিনে বাদীসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2022, 05:26 PM
Updated : 23 March 2022, 05:26 PM

বুধবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলার বাদীসহ দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।  

এ মামলার বাদী ওই সময়ের নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমাণ্ডার এম আবু সাঈদ। অন্য সাক্ষী লে. কমান্ডার আশিক উর রহমান সেসময় নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাটির নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।

পিপি ফখরুদ্দিন বলেন, “ঘটনার পর নৌবাহিনীর বিভাগীয় তদন্ত শেষে বাদী মামলাটি করেছিলেন। অন্য সাক্ষী ঘটনার সময় মসজিদে নামাজরত ছিলেন। এতে তিনি আহতও হয়েছিলেন। উনারা এসব বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।”

এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য ১১ মে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন।

বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে আসামি করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ।

জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় বলে পুলিশ জানায়। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। এদের মধ্যে এক আসামি এম সাখাওয়াত হোসেনও মারা গেছে।

অন্য চার আসামি আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান ও আব্দুল গাফফার বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানান পিপি ফখরুদ্দিন।

আরও পড়ুন: