শিশু আইন মেনে মিতু-বাবুলের সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2022, 03:16 PM
Updated : 16 March 2022, 03:16 PM

শিশু  ‍দুটির বাবা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের ভাইয়ের করা একটি রিভিশন আবেদন নামঞ্জুর করে বুধবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি দেওয়া এক আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে মিতু-বাবুল দম্পতির দুই শিশু সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) কাছে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

এরপর ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান একটি রিভিশন আবেদন করেন। বাবুলের দুই শিশু সন্তান বর্তমানে বাবুলের বাবা ও ভাইয়ের হেফাজতে আছে।

বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশু আইনের বিধিবিধান অনুসরণের নির্দেশনা ছাড়াই আগের আদেশটি দেওয়া হয়েছিল।

“আমরা শিশুদের মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে অথবা স্থানীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আইওকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছিলাম।”  

আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল বলেন, “আদালত রিভিশন আবেদনটি নামঞ্জুর করে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে শিশু আইন ২০১৩ এর ৫৩ ও ৫৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেন।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে রিভিশন আবেদনটি করা হয়েছিল তা খারিজ করে আগের আদেশটি বহাল রাখা হয়েছে।

“জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে শিশু আইন মেনে চলতে বলেছেন আদালত।”

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন সেসময় পুলিশ সুপার পদে থাকা বাবুল আক্তার।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত ১২ মে তার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এরপর সেদিনই বাবুলসহ ৯জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ।

২৫ জানুয়ারি মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৬ মার্চ সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত। এখন নিজের করা মামলাতেই গ্রেপ্তার আছেন বাবুল।