মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৩১ বছর বয়সী ওই তরুণের মৃত্যু হয় বলে সহযোগী অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশীদ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভর্তি করার পর থেকেই তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন ছিল। তাকে আর বাঁচানো যায়নি।”
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় বাবার শ্রাদ্ধের আনুষ্ঠানিকতা সারতে গিয়ে এক পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রক্তিমের পাঁচ ভাই।
গুরুতর আহত রক্তিমকে প্রথমে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের আইসিইউতে।
মাথা, হাত, পা ও পাঁজরে আঘাতপ্রাপ্ত রক্তিমকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে তা খুলে নেওয়া হয়।
রক্তিমরা ছিলেন আট ভাই এক বোন। তার মধ্যে এক ভাই বছর দুয়েক আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
গত মাসের শেষে তাদের বাবা সুরেশের শীলের মৃত্যু হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মালুমঘাটা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কাছে এক শ্মশানে ছিল তার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান।
সেই কাজ শেষে পরিবারের সদস্যরা যখন ফিরছিলেন, মহাসড়কের পাশে একটি পিকআপ তাদের চাপা দেয়। তাতে রক্তিমের ভাই অনুপম শীল (৪৭), নিরূপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) ও চম্পক শীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ওই ঘটনায় রক্তিম ও প্লাবন দুই ভাই এবং তাদের বোন হীরাও আহত হন। এবার এইচএসসি পাস করা প্লাবনও হাসপাতালে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাঁচভাইয়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে মর্মস্পর্শী দৃশ্যের অবতারণা হয়। বৃদ্ধা মা মনু রানী শীল হয়ে পড়েছিলেন হতবিহ্বল। প্রতিবেশীরাও সেদিন আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।