বৃহস্পতিবার উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে সাতাকানিয়া থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, “দুপুরে গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন।”
ইউপি নির্বাচনের শেষধাপে আাগামী ৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়িয়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকতার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় এলডিপি নেতা জসীম উদ্দিন।
জসীমের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি গণি পাড়ায় সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে গেলে আকতার হোসেন দলবল নিয়ে ‘গুলি ছুড়তে ছুড়তে’ তাদের ওপর হামলা চালায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে গিয়ে ভোর বাজারে অবস্থান নিলে সেখানেও আকতার ও তার লোকজন গুলি ছোড়ে এবং আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে।”
‘হামলায়’ তার পক্ষের অন্তত ১২ জন লোক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন জসীম।
তিনি বলেন, “বুধবার রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের বাধা দেয়। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করতে গেলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন বাধা দিচ্ছে।”
পাল্টা অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন দাবি করেন, জসীমই তার বাড়িতে এসে গুলি চালিয়েছে। আহতদের নিজের পক্ষের লোক বলে দাবি করেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আকতার বলেন, “বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারের সময়। কিন্তু জসীম উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার অনুসারীদের নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।”
“জসীম উদ্দিনের বাড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে, আমার বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজ এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার এসে আমার বাড়ির সামনে গুলি চালায়। এ সময় আমার বাড়ির সাইরেন বাজানো হলে স্থানীয়রা তাদের প্রতিহত করে।”
জসীমের অনুসারীরা ভোর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আকতার।
সাতাকানিয়া থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, “প্রচারের সময় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। সেখানে গুলি ছোড়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সংঘর্ষে কয়েক জন আহত হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”