বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক' ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক হাসান তৌফিক ইমাম বলেন, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতিবাচক দিক উঠে এসেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করতে হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা পদত্যাগ করবে বলে জানিয়েছেন।
“এটি একটি লিটমাস টেস্টের মতো। যখন ন্যায্য দাবি চাইবেন, তখন সাথে সাথে অন্যদের চরিত্রও ফুটে উঠবে। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দল দাসে পরিণত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “শাবিপ্রবির উপাচার্যকে বলতে চাই, আপনি শিক্ষক হওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। সেখানে ন্যায্য দাবি করা শিক্ষার্থীদের বিজয় হবেই।”
অবস্থান কর্মসূচিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, “পূর্বে আমরা জানতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারা হয় যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও বিবেচনাকে বন্ধক রাখতে পারে। কিন্তু শাবিপ্রবির উপাচার্য নির্লজ্জতা ও নিকৃষ্টতার সমস্ত উদাহরণকে অতিক্রম করছেন। হাজার হাজার ছাত্রের অশ্রদ্ধা ও অসম্মানকে পুড়িয়ে তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন।”
সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবিব ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।