লালদীঘি হত্যা দিবসে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি
চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 24 Jan 2022 11:02 PM BdST Updated: 24 Jan 2022 11:02 PM BdST
লালদীঘি হত্যা দিবসে নিহতদের স্মরণ করে এই হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বন্দরনগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভার দিন বেলা ১টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাক আদালত ভবনের দিকে এগোলে নির্বিচার গুলি ছোড়া শুরু হয়। সেদিন পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি এই মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে আদালত বলেছিলেন ওই ঘটনা ছিল ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’।
লালদীঘি হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর সোমবার আদালত ভবন এলাকায় নিহতদের স্মৃতিতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ।
এ সময় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারত। কিন্তু সামরিক স্বৈরসরকার এবং বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন থাকার সময় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চেয়েছিল। আমি এই নারকীয় ঘটনার দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই।”
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রাম গণহত্যায় ২৪ জন প্রাণ হারালেও নানাভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জা ও ঘৃণার বিষয়। আজ ৩৪ বছর চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং দোষীদের ফাঁসির রায় রয়েছে।”
নগর কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নিহতদের কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরাও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “স্বৈরাচারী এরশাদ ভেবেছিল জনতার রক্তে থমকে যাবে সকল প্রতিরোধ। কিন্তু মাত্র দুই বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছিলো দামাল জনতা। ২৪ জানুয়ারি তাই যতবার আসে ততবারই জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেদিনের ভয়াবহতা ও মানুষের আহাজারি কখনো স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়ার মত নয়।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, শৈবাল দাশ সুমন, আতাউল্লাহ চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, গোলাম মো. জোবায়ের, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, আঞ্জুমান আরা, শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।
-
চট্টগ্রামে ‘পিটুনিতে জখম’ শিক্ষার্থী, শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে
-
পুলিশ ভ্যানে বাসের ধাক্কা, আহত ১৩
-
৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে
-
চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি লিভারপুলের পথে প্রথম যাত্রায় ‘এমভি অ্যামো’
-
বাংলার সমৃদ্ধি: হাদিসুরের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিল বিএমএমওএ
-
মসলার বাজারও চড়ছে
-
পুলিশের কবজি কাটা কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয় গোলাগুলির পর: র্যাব
-
চট্টগ্রামে গাড়িচাপায় প্রাণ গেল পুলিশের
সর্বাধিক পঠিত
- রিজার্ভ আবার ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- পিএসজির গোল উৎসবে এমবাপের হ্যাটট্রিক
- আমাকে ‘বুড়া’ ডেকেছিল: ঢাবির পঞ্চাশোর্ধ্ব ভর্তি পরীক্ষার্থী বেলায়েত
- মাঙ্কিপক্স: দেশের সব বন্দরে সতর্কতা
- স্বপ্নময় শুরুর পর লাইপজিগের প্রথম শিরোপা
- রিয়ালে যাচ্ছেন না এমবাপে, থাকছেন পিএসজিতেই!
- এমবাপে বললেন, পিএসজিতেই থাকছেন তিনি
- প্রাথমিক পর্বেই শেষ মুস্তাফিজদের আইপিএল
- সাকিবের কোম্পানিকে বিএসইসির নোটিস
- ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ না জেতাটা হবে ব্যর্থতা’