সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম ফ্লাইটটি কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
সপ্তাহে তিন দিন সোম, বুধ ও শুক্রবার চট্টগ্রাম-কুয়েত পথে চলবে জাজিরা এয়ারওয়েজের ফ্লাইট।
প্রথম ফ্লাইট পৌঁছার পর দুপুরে চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে জাজিরা এয়ারওয়েজ।
এতে বিমানসংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) এন্ড্রু ওয়ার্ড বলেন, “১৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত জাজিরা এয়ারওয়েজ করোনকালেও লাভজনক হিসেবে ব্যবসা করে চলেছে। লো কস্ট (স্বল্পমূল্যের) বিমান পরিচালনায় যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জাজিরা।
“২০২২ সালের মধ্যে আমরা ৫৬টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাই। ২০২৫ সালে ৭ মিলিয়ন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন আমাদের লক্ষ্য।”
বাজেট এয়ারলাইন্স হলেও যাত্রীদের লাগেজ সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।
জাজিরা এয়ারওয়েজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেলস) ভারতন রবীন্দ্রন বলেন, “কুয়েত থেকে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এবং আশেপাশের দেশেও আমাদের রুট নেটওয়ার্ক আছে। এটি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বস্ত বিমান সংস্থা।”
এখন চট্টগ্রামে তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করলেও ভবিষ্যতে প্রতি দিন ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য গন্তব্যের যাত্রীরা কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাজিরা এয়ারওয়জের ফ্লাইটে যেতে পারবেন জানিয়ে রবীন্দ্রন বলেন, “সেখানে আমাদের নিজস্ব টার্মিনাল থাকায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন যাত্রীরা।”
জাজিরা এয়ারওয়েজ মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম তাদের ৪৬তম গন্তব্য। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে জাজিরার ৩৭ তম গন্তব্য হিসেবে ঢাকা-কুয়েত পথে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট শুরু হয়।
এখন ঢাকা-কুয়েত পথে প্রতিদিন চলছে এই ফ্লাইট। ইতোমধ্যে এই বিমান সংস্থা কুয়েতে বসবাসকারী দুই লাখের বেশি বাংলাদেশিকে সেবা দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম-কুয়েত পথে এয়ারবাস এ-৩২০নিও চলাচল করবে যার ধারণ ক্ষমতা ১৫৫ জন। এই পথে বর্তমানে অন্য কোনো বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করে না।
সোম, বুধ ও শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে সকাল পৌনে ১০টায় ছেড়ে গিয়ে কুয়েতে পৌঁছাবে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে। তিনদিন কুয়েতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে এসে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্যালাক্সি বাংলাদেশের এমডি আহমদ ইউসুফ ওয়ালিদসহ জাজিরা এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা।