নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর হাটহাজারি ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর পালিয়ে দুবাই চলে গিয়েছিল মহিউদ্দিন। প্রায় ১৮ বছর প্রবাসে পালিয়ে থাকার পর গত ২৯ অক্টোবর তিনি দেশে আসেন।
“ন, রোববার রাতের ফ্লাইটে মহিউদ্দিনের দুবাই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্য শনিবার সে কভিড টেস্টের নমুনাও দিয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে তাকে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ওই মামলার বিচার শেষে নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর ও মন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয় চট্টগ্রামের জজ আদালত।
এছাড়া মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল ও শাহাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে। গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাসিরের ছোট ভাই।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে আসে, পাশাপাশি কারাগারে থাকা আসামিরাও আপিল করেন।
এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া গিট্টু নাসির ২০০৫ সালের ২ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মারা যান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছোট সাইফুলও।
হাই কোর্ট শুনানি শেষে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৬ সালের ১৯ জুলাই রায় দেয়। সেই রায়ে যাবজ্জীবন সাজার আসামি শাহাজাহান ও সাইফুল ওরফে ছোটো সাইফুল খালাস পান, অন্যদের সাজা বহাল থাকে।
এরপর মৃত্যদণ্ডের তিন আসামির মধ্যে আলমগীর কবির খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেন। আর তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, মোহাম্মদ আজম করেন জেল আপিল।
২০২০ সালে আপিল বিভাগ তিন আসামির সাজা কমিয়ে অমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।