শুক্রবারের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে শনিবার র্যাবের তরফে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নুরুল আফসার, নুরুল কাদের, মো. হাসান, মো. মামুন, নুরুল কবির (২৯), আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া (৩০), আবু বক্কর (৩১), মো. ইউসুফ (৪৬), গিয়াস উদ্দিন (৩৭), সফিউল আলম ওরফে মানিক (৩৬), আব্দুল খালেক (৪৪), রুবেল উদ্দিন (২৭), সাইপুল ইসলাম জিকো (২৮), মো. সুলতান (৩৬) ও মনজুর আলম। তাদের মধ্যে নুরুল কবির দলটির প্রধান বলে র্যাবের ভাষ্য।
শনিবার বিকালে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সমুদ্রে জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়েছে। সম্প্রতি পটুয়াখালীতে র্যাব- ৮ এর অভিযানে সাত জলদস্যু গ্রেপ্তার হয় এবং গুলিবিনিময়ের তিনজন নিহত হয়।
পটুয়াখালীতে গ্রেপ্তার জলদস্যুদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায়, তারা চট্টগামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় অবস্থান করে থাকে।
র্যাব-৭ অধিনায়ক এমএ ইউসুফ বলেন, “গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা বোট মালিকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুই লাখ টাকা আদায় করেছে বলে র্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি তথ্য দেওয়া হয় চট্টগ্রামের র্যাব-৭কে।
শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে আফসার, কাদের, হাসান ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ।
“তাদের দেওয়া তথ্যে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকা থেকে দুইটি বিদেশি ও ছয়টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশকিছু ধারালো অস্ত্রসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
“দলটির দলনেতা কবির। সেই মূলত লোকজন জড়ো করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে মামুন মুক্তিপণ আদায়, যোগাযোগসহ বিভিন্ন আর্থিক বিষয়গুলো দেখভাল করলেও ডাকাতিতে সরাসরি অংশ নেয় না। আর ইউসুফ বোট সরবরাহকারী ও হাসান বোট চালক।”
ডাকাত দলটির বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।