শনিবার চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের বরণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিরসনে ভূমিকা রাখায় পুলিশের এ বিশেষ বাহিনীর প্রশংসাও করেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা র্যাবের ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন, তারা চান দেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হোক। মাদক আরও ছড়িয়ে পড়ুক। অন্যথায় র্যাবের বিরুদ্ধে এভাবে ঢালাওভাবে কথা বলতে পারেন না।
ভুলের জন্য র্যাব সদস্যদের বিচার হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কেউ ভুল করতে পারে, তাদের বিচার হয়, তদন্ত হয়, শাস্তিও দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ র্যাবকে অব্যাহতভাবে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
“২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়াই র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় থেকে র্যাব কাজ করেছে। তখন কোনো প্রসঙ্গ আসে নাই। হঠাৎ এখন কেন আসছে, এর পেছনে নিশ্চয়ই ‘কিন্তু’ আছে।”
তিনি বলেন, কোনো দেশ যখন এগিয়ে যেতে থাকে তখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি তাদের পা টেনে ধরতে চায়। মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে। অথচ তাদের দেশে মানবাধিকারের কোনো খবর নাই।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিখোঁজ হয়, গুলিতে মৃত্যুবরণ করে। সেগুলো নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোনো বিবৃতি দেয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, “কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের ইন্ডিপেডেন্ট হিউম্যান রাইটাস এক্সপার্ট যুক্তরাষ্ট্রের গুয়েন্তানামা- বেতে বন্দি নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেটা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় না।”
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বার কাউন্সিলের এডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পেশার শুরুতে অনেক টানাপড়েন থাকে। বাড়ি থেকে টাকা এনে চলতে হয়। সেটা নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কিন্তু শুরুতে অর্থের পেছনে দৌঁড়ালে অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে যেতে হয়। যেটি ভালো আইনজীবী হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এসবের মধ্যে যিনি টিকে থাকবেন পরে তিনি ভালো আইনজীবী হন, যোগ করেন তিনি।