মিতু হত্যা: তদন্ত সংস্থা ‘পরিবর্তনের’ আবেদন খারিজ

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তারের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) ‘পরিবর্তে’ অন্য সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2022, 03:26 PM
Updated : 19 Jan 2022, 03:26 PM

বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিমের আদালত এ বিষয়ে শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেয়।

গত বছর ১৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত পিবিআই’র পরিবর্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কিংবা র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাবুল আক্তারের করা মামলাটিতে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের আবেদন করেছিলাম নভেম্বরে। সেটির আজ শুনানি শেষে খারিজ করা হয়েছে। ওই মামলাতেই এখন তিনি গ্রেপ্তার হয়ে আছেন।”

পরবর্তীতে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানান আইনজীবী শেখ ইফতেখার।

স্বামী বাবুল আক্তারের সঙ্গে মাহমুদা আক্তার মিতু

গত ৩ নভেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলাটি ‘অধিকতর’ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে এ মামলায় পিবিআই’র দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেনি।

পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আগের ওই হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত বছর মে মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা পিবিআই।

এর ভিত্তিতেই বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলায় বাবুল আক্তারসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়। এই মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই।

ওই মামলায় বাবুলকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন