মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম জানান।
প্রতক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয়। আর চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার বা সিএফসির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন শাহ আমানত হলের সামনে।
এক পর্যায়ে উভয়ে পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। তাতে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হন।
ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে মূল ফটক অবরোধ করেন নেতা কর্মীরা।
তারপর থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৫ জানুয়ারির মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন দুই নেতা। কিন্তু কমিটির কার্যক্রম পণ্ড করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। বিনা উসকানিতে সভাপতির অনুসারীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদেরকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”