শনিবার রাতে উপজেলার বটতল এলাকার ‘সীতাকুণ্ড ফিলিং স্টেশন’ থেকে সহকারী নুরুল ইসলাম শাহীনের (২২) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বিডিনিউজ টোয়েনটিফোর ডটকমকে জানান, মাথা থ্যাঁতলানো অবস্থায় মৃতদেহটি কম্বলে মোড়ানো ছিল।
স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “লরি চালক শাহীনের স্বজনদের ফোন করে জানায়, কুমিরা এলাকায় শাহীন প্রস্রাব করতে গাড়ি থেকে নামেন। সেসময় সে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকলেও চালক বুঝতে পারেনি।
“গাড়ি স্টার্ট দিলে ধাক্কা খেয়ে শাহীন পেছনের চাকার নিচে চাপা পড়ে। আহত অবস্থায় চালক তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হলে পথেই মারা যায়।”
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরবর্তীতে স্বজনদের ফোন করে চালক গাড়ি ঘুরিয়ে সোনাগাজীতে শাহীনের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে স্বজনরা থানায় নিয়ে যেতে বলেন।
“স্বজনরা লাশ থানায় নিতে বললে চালক থানায় না নিয়ে বটতল এলাকায় ফিলিং স্টেশনের সামনে গাড়ি রেখে চলে যান এবং বিষয়টি শাহীনের পরিবারকে জানিয়ে দেন।”
পুলিশ পরিদর্শক সুমন বণিক জানান, ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপকের ফোন পেয়ে লরি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গাড়ির চাকার সঙ্গে রক্তের দাগ দেখা গেছে।
“শাহীনের পরিবারের সদস্যরাও তেলের লরি চালানোর সঙ্গে জড়িত। যে কারণে তাদের কাছে ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপকের ফোন নম্বর ছিল। বিষয়টি তারা ব্যবস্থাপককে জানালে তিনি পুলিশকে জানান।”
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক জানান, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তাদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “ওই লরি-চালকের নাম বাবুল বলে জানতে পেরেছি। গাড়িটির মালিকও তিনি। তাকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হলেও তিনি করেননি।”
ময়নাতদন্তের জন্য শাহীনের মৃতদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক।