গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম (২২), মো. সাইফুদ্দীন (৩২), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩৮) ও মো. আলম (২৪)।
এদের মধ্যে নগরীর রৌফাবাদ থেকে গত ১০ জানুয়ারি সাইফুলকে এবং থেকে বৃহস্পতিবার আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন নোয়াখালীর চরজব্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুদ্দীন ও রুমাকে।
বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তুলাতলী এলাকার বাসায় গত ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির সন্তান।
তিনি জানান, বাসায় কেউ না থাকা অবস্থা ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি কামরুজ্জামান বলেন, “এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে আনা হয়।
“জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যে চরজব্বার থেকে সাইফুদ্দীন ও রুমাকে আটক করে থানায় সাইফুলের মুখোমুখি করা হয়। এসময় তারা চুরির ঘটনা স্বীকার করে চুরির মালামালের বিভিন্ন তথ্য দেয়।”
তিনি জানান, তাদের দেওয়া তথ্যে রৌফাবাদে সাইফুল ও আলমের বাসা ও নোয়াখালীর চরজব্বারে সাইফুদ্দিনের বাড়ি থেকে মোট ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুই হাজার সৌদি রিয়াল ও ইমেটিশনের কিছু অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তার চারজন নগরীর রৌফাবাদে থাকেন। তাদের মধ্যে রুমা কাজের বুয়া সেজে কাজ পেতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাসা টার্গেট করে।
“সেসব বাসার তথ্য সাইফুল ও সাইফুদ্দীনকে দেয়ার পর তারা চুরি করে। আর আলম তাদের কাছ থেকে নিয়ে অলঙ্কার বিক্রি করে।এবার চুরির পর সাইফুদ্দীন ও রুমা তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চরজব্বার চলে যায়।”
চুরি করা অলঙ্কার বিক্রি করে সাইফুদ্দীন ও রুমা ঘর তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকতা।