চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপ ও চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ বলেছে, তারা আগের মতোই ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়াতে চায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাসে অর্ধেক আসন খালি চলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকায় বিআরটিএর সঙ্গে বাস মালিক নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার ভাড়া বাড়ানো হবে না।
তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যদি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হয়, তাহলে বলব ভাড়া আগের মতো ৬০ শতাংশ বাড়ানো হোক।”
তিনি বলেন, “বিআরটিএ বলেছে, শনিবার থেকে এটা কার্যকর করতে। আমরা শনিবার বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করব।”
সব যানবাহনের চালক ও শ্রমিকদের টিকা সনদ থাকতে হবে বলে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বেলায়েত বলেন, “দরকার ছিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের টিকা দেওয়া। যেভাবে শিক্ষার্থীদের এখন দেওয়া হচ্ছে। কত চালক-শ্রমিক টিকা নিয়েছেন তার কোনো পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই।”
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ নামের আরেকটি মালিক সংগঠনের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু এক বিবৃতিতে বলেন, “সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সচল রাখতে হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে যাত্রী একজন ও ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”
সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি আগের ভাড়ায় চালানোর সিদ্ধান্তের কথা বলা হলেও মালিকরা লস দিয়ে গাড়ি কীভাবে চালাবেন?
“আর যাত্রী তো কমবে না। তাহলে যাত্রীরা কীভাবে অফিস-আদালতে যাবে? সকালে আর বিকালে অফিস ছুটির সময় যাত্রীর চাপ কে সামাল দিবে? বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার আন্তঃজেলা বাস সমিতির সাথে আমাদের বৈঠক আছে। শনিবার পর্যন্ত সময় আছে। মালিকরা কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখতে হবে।
“শ্রমিকদের সিদ্ধান্তে তো গণপরিবহন চলে না। মালিকরা যা ঠিক করবেন সে অনুযায়ী হবে। আমাদের কেন্দ্র থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।”