বুধবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু বলেন, “দেশের মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। আবার এদেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে।
“গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরে, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে। আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সব ভোট চোররা আজ এক জায়গায় যুক্ত হয়েছে।”
বাংলাদেশে ‘আন্দোলনের জোয়ার’ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আগামীতে আন্দোলনের জোয়ারে ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
“যারা যারা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেবে না। যে উত্তাল আন্দোলন শুরু হয়েছে, কোনো শক্তি একে রুখতে পারবে না।”
আমীর খসরু বলেন, “শুনেছি সরকার নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করছে। আওয়ামী লীগের যে গুটিকয়েক সমর্থক আছে, তাদের তালিকা করুন, বাকিরা সব বিএনপি। আওয়ামী লীগে এখন কোনো রাজনীতিবিদ নেই। লুটপাটে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আওয়ামী লীগে এখন আর কেউ নেই।”
খালেদা জিয়াকে ‘আন্দোলনের মাধ্যমে’ মুক্ত করা হবে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, উনাকে মুক্ত আমরা করব। কার কাছে মুক্তি চাইব? একটা অবৈধ, অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ, দালাল সরকারের কাছে? খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব আন্দোলনের মাধ্যমে। সরকার পতনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এই সমাবেশে বিএনপি ‘বাঁধ ভেঙে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, “যে পরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে, এটা একটা স্যাম্পল মাত্র। এখনও তো ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখোনি। ফাঁদ দেখাব আগামী দিনে। চট্টগ্রামে দেখাব, চট্টগ্রাম বিভাগে দেখাব, বাংলাদেশে দেখাব। এসব ধানাইপানাই করে কোনো লাভ হবে না। ১৪৪ ধারায় কোনো কাজ হবে না। ১৪৪ ধারার দিন শেষ হয়ে গেছে।”
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক সমাবেশে বলেন, “বীর চট্টলার মানুষ বিগত বারোটি বছর সরকারের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই বারো বছরে বিএনপির একটি লোকও অন্য দলে যায় নাই।
“প্রশাসন দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে কিন্তু পারেন নাই। পেরেছেন শুধু নেতাকর্মীদের সপ্তাহের পাঁচটা দিন কোর্টের বারান্দায় হাজিরা দেওয়াতে।”
বিএনপির দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বক্তব্য দেন।