বিভেদের সীমারেখা তৈরি করে বিপদ ডাকা হচ্ছে: নাছির

আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে যারা বিভেদের সীমারেখা তৈরি করছে, তারা বিপদ ডেকে আনছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2022, 03:28 PM
Updated : 10 Jan 2022, 03:28 PM

সোমবার নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কমিটি গঠন নিয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিভেদ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। সম্মেলন আয়োজন ও সদস্যপদ দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগের পর ওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

দ্বন্দ্ব নিরসনে ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ঢাকায় এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা আছে।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির বলেন, “বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। এই অর্জন পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।

“এই সত্যটা যদি উপলব্ধি করতে না পারি তা হলে সকল অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই আমাদের মধ্যে বিভেদ ও একে অপরকে ঘায়েল না করে দলীয় ও জাতীয় ঐক্যকে সুহংত করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে।”

আ জ ম নাছির বলেন, “এখন কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে বিভেদের সীমারেখা তৈরি করছেন, তারা আত্মঘাতী বিপদ ডেকে আনছেন। মনে রাখতে হবে, দল ক্ষমতায় না থাকলে আমাদের সকলের পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে এবং মুক্তিকামী বাঙালি স্বস্তি ফিরে পায়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিলো একটি রাষ্ট্রকাঠামো গঠনের নির্দেশনা এবং উনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ ছিলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাবনা।

“স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তখন সমূলে নির্মূল না হওয়ায় তারা একত্রিত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারই ফলে ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা জাতিকে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করে মুক্তির সুবাতাস বয়ে দিয়েছেন।”

প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, কার্যনিবাহী সদস্য মহব্বত আলী খান, থানা আওয়ামী লীগের কাজী আলতাফ হোসেন, নূর মোহাম্মদ নুরু।

এদিকে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নগর মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে নগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালি জাতির আরেকটি স্বপ্নপূরণ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

“বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু তনয়া একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকে তহবিল ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তিনি পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করে যাচ্ছেন।”

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিলু নাগের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মালেকা চৌধুরী, খুরশিদা বেগম, হাসিনা আক্তার টুনু, শারমিন ফারুক, হুরে আরা বিউটি, রুখসানা আক্তার, মনোয়ারা বেগম মনি, শাহিন আক্তার, জেনিফার ও শিরীন আক্তার।