চট্টগ্রামে আগুনে নিহতদের পরিচয় মেলেনি

চট্টগ্রামে ফার্নিচারের কারখানা ও গুদামের আগুনে নিহত দুই জনের মরদেহ বেশি পুড়ে যাওয়ায় এখনও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2022, 03:26 PM
Updated : 10 Jan 2022, 03:26 PM

সোমবার বিকালের এ আগুনে পাহাড়তলী থানাধীন কর্নেল হাট এলাকায় ‘পি টু পি’ নামে একটি কোম্পানির ফার্নিচার কারখানা ও গুদামের বেশির ভাগ আসবাব ও কাঁচামালও পুড়ে গেছে।

বড় এলাকাজুড়ে অবস্থিত দোতলা কাঠামোর এ কারখানায় কাঠসহ দ্রাহ্য অনেক পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার।

তিনি বলেন, ওই ফার্নিচারের গুদাম ও কারখানায় বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ, ফোম, তৈরি ফার্নিচার, বার্নিশের রঙ, তারপিন, ফিনাইলসহ বিভিন্ন দ্রব্য পুড়তে দেখেছি।

আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কার যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্তের মাধ্যমে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ওই কারখানায় বিভিন্ন প্রকারের দাহ্যবস্তু ছিল।

কর্নেল হাটের ওই কারখানায় বিকাল পৌনে চারটায় আগুনের সংবাদ পেয়ে তিনটি ইউনিটের ১০টি গাড়ি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফারুক জানান, অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার পর মালিকপক্ষের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

আগুন লাগার পর থেকে ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের কাউকে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস পায়নি বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক তদন্ত নাজমুল হাসান।

নিহত দুই জনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এদের একজনের নাম শাহাদাত হতে পারে বলে ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর কর্ণেল জোনস সড়কের পি টু পি ফার্ণিচারের গুদামে সোমবার বিকালে আগুন লাগলে তা নেভাতে যায় ফায়ার সার্ভিস। ছবি: সুমন বাবু

পি টু পি ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মূলত ওইখানে তৈরি ফার্নিচার রাখা হত। সেখানে ওয়েল্ডিং করার সময় বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।

ওই সময় সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছিল বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফারুক বলেন, ওই কারখানায় শখানেক শ্রমিক দৈনিক ও মাসিক বেতনের ভিত্তিতে চাকরি করেন। সেকারণে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।