চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আলেক শাহ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর গভীর রাতে ইপিজেড থানার ওয়াসা গলির আম্বিয়া ভবনের নিচতলায় আশা মনি নামের ২৫ বছর বয়সী এক পোশাককর্মী খুন হন।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. লুৎফর বাদী হয়ে আশা মনির স্বামী আলেক শাহকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের নয় বছর আগে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের শান্ত মিয়ার ছেলে আলেক শাহর সঙ্গে আশা মনির বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সী মেয়ে ঘটনার সময় নেত্রকোণার নরেন্দ্র নগর গ্রামে আশার বাবার বাড়িতে থাকত।
২৬ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ওয়াসা গলির বাসায় গিয়ে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আশা মনির মরদেহ পায় পুলিশ। সেখান থেকেই তার স্বামী আলেক শাহকে আটক করা হয়।
আগের রাতে ঝগড়ার জেরে আশাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন আলেক শাহ।
এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৭ সালের ১২ জুলাই।
রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন এবং আসামি পক্ষে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।