চট্টগ্রামের খুলশী থানায় রোববার করা এ মামলায় লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিনহাজুল হকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চার জন ডাক্তার ও নার্সকে আসামি করা হয়।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালিমা নামে এক রোগীর ভাই আবুল হোসেন আকাশ মামলাটি করেন। তার অভিযোগ, বোনের নেত্রনালীর সার্জারি করার কথা থাকলেও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার বদলে চোখে লেন্স বসানো হয়েছে।
তার বোন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, চোখে লেন্স লাগানোর কারণে হালিমার চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে এবং তার ব্যাথা শুরু হয়। তখন চিকিৎসক মিনহাজুলকে ডাকলেও তিনি আসেননি।
আকাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই হাসপাতালে হালিমা নামে ৩০ বছর বয়সী আরেক রোগীর চোখে লেন্স লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসক তার বোনের চোখে লেন্স লাগিয়ে দিয়েছে।
অভিযোগ নিয়ে ওই চিকিৎসকের মন্তব্য জানা যায়নি। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লায়ন্স চট্টগ্রাম জেলার কেবিনেট সেক্রেটারি এসএম আশরাফুল আলম আরজু।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের কেবিনেট সদস্যরা ডাক্তারদের সাথে কথা বলে মূল ঘটনা কী সেটা খতিয়ে দেখবে তারপর বিষয়টি বলা যাবে।”
এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালের দায়িত্বে রোগীর চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আরজু জানান।