জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তিই মূল কাজ: মেয়র রেজাউল

বন্দর নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করাই তার মূল কাজ বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার সকালে নগরীর টাইগার পাসে অস্থায়ী নগর ভবনে নিজ কার্যালয়ে সেন্টার ফর অ্যানভাইরনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি।

মেয়র রেজাউল বলেন, “নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করাই আমার মূল কাজ। সাম্প্রতিক দশকে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বন্দরনগরী মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারে জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। ৬৩টি খালের কাজ একসাথে শেষ না করলে নগরবাসী জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্তি পাবে না।”

বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং নগরের অসুস্থ ড্রেনেজ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে মেগাপ্রকল্পের ৩৫টি খালের সংস্কার ও দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। এই প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস।

মেয়র রেজাউল ওই প্রকল্পের পাশাপাশি বাকি ২৮টি খালের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে ডিপিপি তৈরি করতে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওয়াসার পাইপ লাইন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাস পাইপ পাইপগুলো ড্রেন বা কালভার্টের নিচ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

“সিএস খতিয়ানে খালগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও সেখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরণের স্থাপনা রয়েছে। এই দখলকৃত খালগুলো চিহ্নিত করে এগুলো অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে।”

ময়লা, আবর্জনা ও পলিথিন ড্রেনে না ফেলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রেজাউল।

সভায় সিসিসির প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, সিইজিআইএস’র উপদেষ্টা সামিউল ওয়াহহাব চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আহসানুল্লাহ মিয়া, মোতালেব হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন।