প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা স্কুল থেকে গড়ে তোলার সুপারিশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 Dec 2021 05:48 PM BdST Updated: 29 Dec 2021 05:48 PM BdST
প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সঠিক জ্ঞানই পারে আলোকিত মা ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে। এজন্য স্কুল পর্যায়ে এ বিষয়ে আরো সচেতনতা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন।
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের আলোচনায় এ সুপারিশ করা হয়।
‘আওয়ার লাইভস, আওয়ার হেলথ, আওয়ার ফিউচার’ প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে এই সভা হয়।
কিশোরী ও যুব নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, মাসিক ব্যবস্থাপনা, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলার ১৭টি উপজেলায় ৩০০টি গার্লস ক্লাবের ১২ হাজার কিশোরী ও যুব নারীকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্পের কাজ চলছে।
সভায় রাঙামাটির গার্লস ক্লাব সদস্য বিশাখা ত্রিপুরা বলেন, “এ পর্যন্ত ১৯টি সেশনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা স্যানিটারি প্যাড বানানো শিখেছি। ফলে প্যাডের ব্যবহার বেড়েছে। আগে মাসিকের সময়ে মানসিক চিন্তায় ভুগতাম। যার প্রভাব শরীরে পড়ত। এই সময়ে মানসিক অবস্থা কীভাবে স্বাভাবিক রাখতে হয় তা আমরা শিখছি। এ বিষয়ে আলোচনায় ভয়-জড়তা ছিল। যা অনেকটাই কেটেছে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং সিমাভি নেদারল্যান্ডসের কারিগরি সহযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলার ১০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
খাগড়াছড়ির প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলে শুরুতে সামাজিক ট্যাবুর কারণে এসব বিষয়ে উচ্চারণও করা যেত না। ট্যাবুর কারণে মাসিকের সময় কিশোরীরা নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। ফলে কিশোরীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে।
“১২ হাজার কিশোরী ও যুবা নারীকে নিয়ে এই কাজ পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় প্রভাব ফেলবে। শুধু কিশোরীদের নয় তাদের মা-বাবা-ভাই এবং স্থানীয় প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এই কিশোরীরাই একদিন আলোকিত মা হবেন। আলোকিত মা পেলেই আলোকিত জাতি পাব।”

“এ লক্ষ্যে পার্বত্য তিন জেলায় কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে যে কাজ চলছে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সামাজিক সংস্কারের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের প্রতিবন্ধকতা জয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কামরুল হাসান বলেন, “বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে কিশোরীরা তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনে উপনীত হবে। এ সময়ে যখন শারীরিক পরিবর্তন আসে তখন প্রথমে ভীতি কাজ করে। এসময়ে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজ থেকেও বিরত রাখা হয়। বাস্তবতা হলো এটা একটি অনিবার্য শারীরিক প্রক্রিয়া। শারীরিক, মানসিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঘটে এ সময়ে। প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত এ সময়ে তাদের সহায়তা করা। তাহলে কিশোর-কিশোরীরা কুশিক্ষা পাবে না।”
পার্বত্য অঞ্চলে কিছু বাধা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গতকালই মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বলেছি, পার্বত্য জেলাগুলোতে আরো বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে বাধা আসতে পারে। পড়শি, বোন, আত্মীয় হিসেবে কিশোরীদের সহযোগিতা করতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “এসডিজির তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা এই কর্মসূচির মাধ্যমে অর্জন হবে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে। ৫০ বছর পর আমাদের চিন্তা করার সুযোগ আছে সবক্ষেত্রে আমরা সমতা নিশ্চিত করতে পেরেছি কিনা।
“তিন পার্বত্য জেলার জনগোষ্ঠী এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। শিক্ষা, উন্নয়ন ও অধিকারে পার্বত্য জনগোষ্ঠী এখনো অনেক পিছিয়ে। বিএনপিএস সেই পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করছে। এরাই আগামী দিনের মা। আজকের প্রেক্ষিতে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য্যপূর্ণ।”
প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয় মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. ছেহেলী নার্গিস।
বিএনপিএসের সুমিত বণিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা, খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ, বান্দরবানের পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডা. অং চালু, রাঙামাটির পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক আনোয়ারুল আজিম, খাগড়াছড়ির পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক এমরান হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট বান্দরবান সুরাইয়া আক্তার সুইটি, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে এম ইয়াসির আরাফাত, উন্নয়ন সংস্থা তাজিংডং এর নির্বাহী পরিচালক চিং সিং প্রু, উন্নয়ন সংস্থা প্রগেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা এবং তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা।
-
চট্টগ্রামে বাসে ধর্ষণচেষ্টা: চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার
-
মিরসরাইয়ে রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
-
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ: নতুনরা থাকবে ‘অবজারভেশনে’
-
বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজসহ ১০৮ গাড়ি নিলামে উঠছে
-
মীরসরাইয়ে স্থানীয়দের হামলায় র্যাবের ২ সদস্য আহত
-
পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপির বুকে ‘বড় জ্বালা’: কাদের
-
জ্ঞান ফেরার পর পোশাককর্মী জানালেন বাসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়ার খবর
-
চট্টগ্রাম যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে তোড়জোড়
-
মিরসরাইয়ে রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
-
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ: নতুনরা থাকবে ‘অবজারভেশনে’
-
মীরসরাইয়ে স্থানীয়দের হামলায় র্যাবের ২ সদস্য আহত
-
বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজসহ ১০৮ গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস
-
পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপির বুকে ‘বড় জ্বালা’: কাদের
-
জ্ঞান ফেরার পর পোশাককর্মী জানালেন বাসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়ার খবর
সর্বাধিক পঠিত
- শেষ বিকেলে পথ হারিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশ
- রাহুলদের বিদায় করে টিকে রইলেন কোহলিরা
- হাদিসুরের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ: বিএসসি
- নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ইউক্রেইন থেকে খাদ্যশস্য বের করতে দেয়া হবে: রাশিয়া
- দেখিয়ে দিতে চান আজার
- ‘ওয়ার্নের মতো সাকিব’, মুগ্ধ-অভিভূত ডোনাল্ড
- ‘গোপন একটা বিষয় আছে’, গুলিবর্ষণের আগে বার্তা টেক্সাসের তরুণের
- ৫ ট্রফি জয়ের কীর্তি গড়ে আবেগাপ্লুত মরিনিয়ো
- বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিল নগর বাউল ও মাইলস
- বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজসহ ১০৮ গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস