চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা মির্জা খালে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করে।
“দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় লাশ ফুলে গেছে। আমরা কামালের বাবা আলী কাওসার আর কামালের বন্ধু রাকিবকে ডেকে এনে দেখিয়েছি। গায়ের পোশাক দেখে তারা লাশ শনাক্ত করেছে।”
ওই রাকিবের সঙ্গে খেলতে গিয়েই গত সোমবার বিকেলে চশমা খালে তলিয়ে গিয়েছিল কামাল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মঙ্গলবার সেখানে তল্লাশি শুরু করেছিল। কিন্তু খালে জমে থাকা আবর্জনার কারণে বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
কিন্তু ওই শিশুর মৃতদেহের খোঁজ মিলেছে তারও প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মুরাদপুরের মির্জা খালে।
কামালের বন্ধু রাকিব জানায়, হলুদ রঙের ফোম দেখে তারা সেটি নিতে খালে নামে। সেটি তুলে তাতে ভাসতে ভাসতে খেলার সময় এক পর্যায়ে পানির স্রোতে তারা উল্টে যায়। পরে বক্সকালভার্টের নিচে তলিয়ে যায় কামাল।
কামাল ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকার আলী কাওসারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে কামাল সবার ছোট।
তার আগে ৩০ জুন ষোলশহরের চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি অটোরিকশা খালে পড়ে গেলে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।
সবশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছাকাছি নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কয়েক টন আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে ১৯ বছর বয়সী সাদিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।
২০১৮ সালের ৯ জুন নগরীর আমিন জুট মিল এলাকায় নালায় পড়ে মারা যায় আল আমীন নামে ৭ বছরের এক শিশু।