পর্যটকদের বিশেষ সুবিধার (কার্নেট ডি প্যাসেজ) আওতায় আনা বিলাসবহুল এসব গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল।
বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার, লেক্সাস, টয়োটা, ফোর্ড, হোন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি এসব গাড়ি (জিপ ও কার) নিলামে তোলা হয়।
এখন নিলামের দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দেওয়া যৌক্তিক দর পর্যালোচনার পর বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মো. আল-আমীন বলেন, “আমরা সোমবার সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছি। মোট ৫৫১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ১১০টি গাড়ির জন্য দরপত্র দিয়েছিল। যৌক্তিক দর পর্যালোচনার জন্য এসব গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে।”
কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১১২টি গাড়ির জন্য এবারে সংরক্ষিত দর ছিল ১৮০ কোটি টাকা। গাড়ির আমদানি মূল্য ও অবচয় সুবিধা ধরে শুল্কসহ মোট দাম ধরা হয় সংরক্ষিত মূল্য হিসেবে।
নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে বিএমডব্লিউ ২৮টি, মার্সিডিজ বেঞ্জ ২৪টি, ২৩টি মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার ১২টি, লেক্সাস ৯টি, টয়োটা ৪টি।
নিলামের দরপত্রের দর তালিকা দেখে জানা গেছে, এবারে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের ফারজানা ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দিয়েছে, একই মডেলের আরেকটি একটি গাড়ির দাম ওঠে ৫০ লাখ টাকা।
মিতসুবিশির একটি গাড়ির দাম একটি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা।
অন্য সময়ে নিলামে ল্যান্ডরোভার গাড়ির দর বেশি উঠলেও এবার ওই ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম ওঠে মাত্র ২৮ লাখ টাকা।
কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধা, শুল্ক ফাঁকি এবং মিথ্যা ঘোষণায় আনার পর এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। নিলামে ওঠা গাড়িগুলো ১৫-২০ বছর আগে আনা।
কাস্টমস কর্মকর্তা আল আমীন বলেন, গাড়ির যে দর উঠেছে সেসবের সাথে সর্বোচ্চ দর দাতাদের আরও ১৭.৫ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হবে। এরমধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট এবং ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর। নিলামের দরের সঙ্গে তা যুক্ত করে মোট মূল্য দাঁড়াবে।