আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বুধবার আদালতে এ আবেদন করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আসামিপক্ষের আবেদনে মামলার নথিপত্রগুলো বিচার বিভাগের হেফাজতে ছিল। যেহেতু আদালত অদিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছে, সেজন্য নথিপত্রগুলো চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।”
স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী থেকে আসামি বনে যাওয়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল নিজেই পুলিশের হেফাজত থেকে ওই নথিপত্র বিচার বিভাগের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছিলেন। তাতে সাড়া দিয়ে গত ২৩ অগাস্ট আদালত মামলাটির নথিপত্র বিচার বিভাগের হেফাজতে রাখার আদেশ দেয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। তার পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পিবিআই।
গত ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন জামাতাকে আসামি করে মামলা করেন।
তার গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে গত ৩ নভেম্বর বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদন খারিজ করে অধিকতর তদন্তের আদেশ আসে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত থেকে।
ওই আদেশে বলা হয়, প্রথম মামলার পর তদন্তে ঘটনার ভিন্নতা, অপরাধের ভিন্নতা বা মামলায় উল্লেখ করা অপরাধ পরে ভিন্ন কোনো অপরাধে পরিবর্তিত হলে দ্বিতীয় মামলা করা যায়। উচ্চ আদালত বিভিন্ন সময়ে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
“সফল তদন্ত হয়েছে, মোটিভ শনাক্ত হয়েছে এবং আসামি শনাক্ত হয়েছে। দুজন সাক্ষী ও দুজন আসামির জবানবন্দি এবং সিসিটিভি ফুটেজ ও ব্যবহৃত কার্তুজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ হয়েছে।”
এসব কারণে মামলায় তদন্ত সংস্থার দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আইওকে মিতু হত্যার ঘটনায় অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।