ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল: ‘নিরপেক্ষ’ তদন্ত দল করছে সিসিসি

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র‌্যাম্পের পিলারে ফাটলের বিষয়টি নিয়ে ‘নিরপেক্ষ’ তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 03:37 PM
Updated : 28 Oct 2021, 03:37 PM

এই ফাটল নিয়ে সিসিসি, সিডিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নানা বক্তব্যের মধ্যে বৃহস্পতিবার মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একজন অধ্যাপক এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ওই কমিটি গঠন করা হবে।

এজন্য চুয়েট ও সওজকে চিঠি দিয়ে প্রতিনিধির নাম পাঠাতে অনুরোধ করেছেন সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম।

এ বিষয়ে সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্লাইওভারের ঘটনার কারণ ও প্রতিকার জানতে একটি দুই সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি করা হবে। সেজন্য মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিনিধি চেয়ে চুয়েট ও সওজকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

“তাদের দেওয়া প্রতিনিধিরাই তদন্ত করবেন। উনারা এরপর যে অনুসন্ধান দেবেন সে ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এম এ মান্নান ফ্লাইওভারটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নির্মাণ করে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হস্তান্তরের পর থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিসিসির।

সোমবার রাতে ফ্লাইওভারের র‌্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই পুলিশ ওই র‌্যাম্পে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

পরদিন পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম র‌্যাম্পের নির্মাণ ত্রুটি অথবা নকশাগত ত্রুটি থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

তবে সিডিএর প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান হালকা যানের জন্য তৈরি র‌্যাম্পে ভারী যান চলাকে দায়ী করেন।

আর ফ্লাইওভারের নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্ট লিমিটেড এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন শেষে দাবি করেন, ফ্লা্ইওভারের পিলারে কোনো ফাটল নেই। যা দেখা যাচ্ছে তা হলো ‘কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট’।

১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরনগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার এ ফ্লাইওভার ২০১৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন হয়।

স্থানীয়দের দাবির র‌্যাম্পটি প্রায় চার বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চালু করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে সিডিএ।