‘জাতির পিতা জন্মশতবর্ষে চট্টগ্রামের শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক গ্রন্থে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের জন্য লেখক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গ্রন্থটির সম্পাদক নেছার আহমদ এবং প্রকাশনা উপদেষ্টা রাশেদ রউফকে আসামি করে গত ১৯ অক্টোবর মামলার আবেদন করেছিলেন সুজন।
সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে করা মামলার আবেদনটি আপাতত এগিয়ে নিতে চাই না জানিয়ে আবেদন করেছি। আদালত সেটা গ্রহণ করেছেন।”
বাদীর আইনজীবী মজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে কোনো কারণেই হোক, আপাতত বাদী মামলাটি আর চালাতে ইচ্ছুক নন। তাই লিখিতভাবে ‘নট প্রেস’ আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা করার আগের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।”
সুজনের করা লিখিত আবেদনে মামলার আরজিতে ‘তথ্যগত কিছু ভুল’ আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
পরে আবার মামলা করবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে সুজন বলেন, “এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব।”
মামলার আবেদনে সুজন বলেছিলেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ওই লেখায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অসম্মান করা হয়েছে’।
জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘শেখ মুজিবের গোপন শত্রু’ শিরোনামে লেখা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন সুজন।
তখন তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠার ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসম্মান করে লেখা হয়েছে। এতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন ‘বলা হয়ে থাকে যে, একাত্তরের আগের শেখ মুজিব আর পরের শেখ মুজিব এক নন। বড়ই সত্য কথা’।
“ওই লেখার ১৯ পৃষ্ঠায় আরও উল্লেখ রয়েছে, ‘নৈতিক পতনেই তার (বঙ্গবন্ধু) দৈহিক পতন ডেকে আনে’।”
নেছার আহমদের সম্পাদনায় ‘জাতির পিতা জন্মশতবর্ষে চট্টগ্রামের শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৭ মার্চ। এটির প্রকাশনা উপদেষ্টা ছিলেন কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ।
দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করার পর বিভিন্ন মহল থেকে এর নিন্দা ও সমালোচনা করা হয়।