ধর্মীয় রাজনীতি ভালো ফল আনতে পারে না: নওফেল

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ধর্মীয় রাজনীতি কখনও কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে না বলেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে আইন পাস করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2021, 07:56 PM
Updated : 21 Oct 2021, 07:56 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

নওফেল বলেন, “জাতির পিতা অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ছিলেন। ধর্মীয় রাজনীতির যে অপপ্রভাব, যে কারণে উপমহাদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়ে… লক্ষ লক্ষ মানুষের যে মৃত্যু, সহিংসতা তিনি দেখেছেন।

“এই প্রেক্ষিতে তিনি বিশ্বাস করেছেন এবং সেটা বাস্তবায়ন করেছেন যে ধর্মীয় রাজনীতি কখনো কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে না। এজন্য তিনি বাংলাদেশে আইন পাস করে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন।”

পরে সামরিক শাসকরা সেই ধারা থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে নিয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশের পুরো রাষ্ট্র কাঠামোই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল, যার দরুণ আজ এত সমস্যা। সেগুলো সমাধানের পথ আমরা খুঁজছি।”

বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর জীবনের দৃষ্টান্ত টেনে নওফেল বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের সকল পর্যায়ের জনগোষ্ঠী ঐক্যমতে পৌঁছেছিল স্বাধীনতার প্রশ্নে। ধর্ম বর্ণ শ্রেণি নির্বিশেষে দুই নেতাই সবার মধ্যে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যমত সৃষ্টি করেছিলেন। দুই নেতার জীবনে তা আমরা দেখেছি।

“তারা আন্দোলন করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। আবার মৌন আন্দোলন করেছেন। প্রক্রিয়াগত ও দার্শনিক মেলবন্ধন ছিল দুই নেতার।”

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, “উপমহাদেশের সবচেয়ে অদম্য দুই নেতার জীবন তুলে ধরতেই এই প্রদর্শনী।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ভারতের মানুষের কাছে ততটা শ্রদ্ধার যতটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে। তিনি একটি সোনার বাংলা গড়ার লড়াই করেছিলেন। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের অনেক অর্জনে গর্ববোধ করি। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।”

ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ভারতীয় হাই কমিশন ঢাকা, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় এই প্রদর্শনী হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এবং চট্টগ্রামের জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দীন সিকদার।

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চট্টগ্রাম এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রদর্শনী চলবে ২১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।