চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সম্প্রীতি শোভাযাত্রা

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সম্প্রীতি ও শান্তি শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2021, 05:30 PM
Updated : 19 Oct 2021, 05:30 PM

মঙ্গলবার দুপুরে নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল স্তরের প্রতিনিধিত্ব মূলক বর্ধিত সভার বিরতিতে এই শোভাযাত্রা করা হয়।

নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রা নগরীর কাজীর দেউড়ি, আসকার দিঘীর পাড়, জামালখান প্রেস ক্লাব হয়ে আবার বর্ধিত সভা স্থলে ফিরে আসে।

এর আগে বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “চারিদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। বাঙালি জাতিসত্তার শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আঘাত করতেই বারবার সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে সম্প্রীতির পরিবেশ ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।

“যারা এই অপকর্মের সাথে যুক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে সংগঠনের তৃণমূল স্তরকে সুসংহত ও সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে। আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। এই অহংকার কোনোদিন চূর্ণ হবে না। যে কোনো মূল্যে অহংকারকে ধরে রাখতে হবে। কারণ অশুভ শক্তি অশনি সংকেত বার্তা ছড়াচ্ছে।”

বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন ও বিভক্তির কারণেই ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হয়। ফলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির রাজনৈতিক উত্থান ঘটেছিল। এটাই ছিল বাঙালি জাতি সত্তার বিরুদ্ধে বড় অপঘাত।

“এই অপঘাতের শিকড় আরো গভীরে যাবার আগে উপড়ে না ফেলতে পারলে জাতীয় অস্তিত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। তাই এখন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় অস্তিত্ব সুরক্ষায় অগ্রবর্তী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।”

নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক মেয়র নাছির বলেন, “কেউ ইচ্ছে করলেই পদ-পদবী পেতে পারেন না, জন ও কর্মী সম্পৃক্ততা না থাকলে কেউ নেতা হতে পারবে না। আমিও যদি চাই, তাও সম্ভব নয়, নেত্রী যদি না চান কখনও সেই ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। তাই পদ-পদবীর জন্য ধাক্কাধাক্কি ও প্রতিযোগিতা এবং পারস্পরিক চরিত্র হননের কোন প্রয়োজন নেই।”

১৬ নভেম্বর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ নির্ধারিত তারিখ ও স্থান অনুযায়ী প্রথমে ইউনিট সম্মেলন হবে এবং তিনটি করে ইউনিট সম্মেলন শেষ হলে ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ হতে সরবরাহকৃত তথ্য সংগ্রহ ফরম পূরণ পূর্বক মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সভায় আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ১০ দিন পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে শান্তি ও সম্প্রতি কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত তৃণমূলের বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী ও শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ সমশের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জোবায়েরা নার্গিস খান।