প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে শনিবার চট্টগ্রামে শ্রম অভিবাসন বিষয়ে এক সভায় তিনি একথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীদের বিকল্প নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে কাজের জন্য ঢাকায় এসে রিক্রুটিং এজেন্ট সন্ধান করে না। বরং তারা গ্রাম বা এলাকায় স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীদের খুঁজে বের করে, যার মাধ্যমে পাসপোর্ট ভিসা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ প্রসেসিং করে সে দেশের বাইরে জীবিকার জন্য যেতে পারে।
“জীবিকার সন্ধানে দেশের বাইরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতারণা ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে অভিবাসন আইন ২০১৩ এর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে সরকার। একইসাথে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে মধ্যস্থতাকারীদের কীভাবে আইনি কাঠামোতে আনা যায় এ নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।”
নগরীর রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন ইপসা।
ইপসার উপ-পরিচালক নাছিম বানুর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল এর সিনিয়র আইবিপি ম্যানেজার শিরিন লিরা।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য তুলে ধরেন গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির (জিএমসি) প্রতিনিধি মোকারম হোসেন, বায়রা চট্টগ্রামের নির্বাহী সদস্য এমদাদ উল্লাহ, দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সাইদ হাসান, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কক্সবাজারের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান।
শাহ-আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বক্তব্য দেন।
সভায় শ্রম অভিবাসন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচ্য বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আব্দুস সবুর। স্বাগত বক্তব্য দেন ইপসার উপ পরিচালক মো. শাহজাহান।