খোকনের বাড়ি নোয়াখালী হলেও থাকতেন রূপসী পাহাড় এলাকায়। সেখানে তিনি বিভিন্ন লোকের জায়গায় চাষাবাদ করতেন।
খোকন কী আত্মহত্যা করেছিলেন, না কি হত্যাকাণ্ডের শিকার, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) মো. শাহ আলম বলেন, “এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। সবকিছু খতিয়ে দেখছি।”
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাপড় দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝোলানো ছিল লাশটি। লাশের শরীর ফুলে গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।”
লাশ উদ্ধারের সময় তার মুখের ভেতর কাপড় গোঁজা ছিল।
আরাফাতুল জানান, লাশ উদ্ধারের সময় সিআইডি ও পিবিআই এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ এলাকায় পাহাড়টি স্থানীয়দের কাছে রূপসী পাহাড় নামে পরিচিত।
সেখানে জাতীয় গ্রিড লাইনের বিশাল লোহার খুঁটির সঙ্গে খোকনের লাশটি ঝুলছিল।
খুলশী থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক লাখ ৩০ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় খোকনকে পাওয়া গেছে।”
পরিবার খোকনের নিখোঁজ থাকার খবর এখন বললেও আগে থানায় জানায়নি বলে জানান ওসি।