মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
তার এক সময়ের সহকর্মী কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার জানান, প্রায় দুই বছর আগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল-বাসা মিলিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন শাহিদ আনোয়ার। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে তিনি জানান।
ওমর কায়সার বলেন, “আশির দশকের অন্যতম কবি শাহিদ আনোয়ার দৈনিক পূর্বকোণে সহ-সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পরে তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।
“কৃতি শিক্ষার্থী শাহিদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষবোর্ড থেকে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। ইংরেজি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।“
প্রগতিশীল চিন্তায় বিশ্বাসী শাহিদ শিক্ষাজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কবিতার চারটিসহ তার মোট পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হল, শুড়িখানার নুড়ির মধ্যে, কুঁকড়ে আছি মনোটোনাস গর্ভে, দাঁড়াও আমার ক্ষতি, বৈদেহী এক ওষ্ঠ পোড়ে এবং আত্মজৈবনিক গদ্য ‘আনলাকি থার্টিন’।