বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
নওফেল বলেন, “বড় প্রতিষ্ঠানের মালিকরাই দেশের গণমাধ্যমের নীতিমালা ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে, যা আমাদের দুর্ভাগ্য। যারা হাজার কোটি টাকার মালিক, তাদের কাছে যেন গণমাধ্যম আবদ্ধ হয়ে না পড়ে। সে পথে আমরা প্রায়ই চলে গেছি।
“এই প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। এজন্য সঠিক নীতিমালা প্রয়োজন। সারা বিশ্বে সাবস্ক্রিপশন বেইজ সাংবাদিকতা থাকলে এখানে কেন থাকবে না। আপনারা স্বাধীনচেতা। এই মানসিকতা জাতীয়ভাবে বাস্তবায়নে চেষ্টা করতে হবে।”
নওয়েল বলেন, “পাশের দেশেও উদ্যোক্তাদের ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা দেওয়া হয় না। গণমাধ্যমকর্মীদের ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকে।”
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে বলেও মনে করেন নওফেল।
“আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলো খুবই দায়িত্বশীলতার সাথে গঠনমূলক সাংবাদিকতার চর্চা করছে। ঢালাওভাবে দলীয় বা সরকারের সমালোচনা না করে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তির দুর্নীতির দিকে সবচেয়ে বেশি ফোকাসটা হচ্ছে এবং সেটাই প্রয়োজন।”
চট্টগ্রামে ‘অনেক সমন্বয়হীনতা’
চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ নওফেল বলেন, “সিটি করপোরেশন এলাকায় সাংসদদের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ খুবই কম। তবে আমরা সমন্বয়ের চেষ্টা করি। অবশ্যই এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের একটা বড় অভাব আছে।
“আমাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা অনেক সময় নিজেকে সামনে নিয়ে নেতৃত্ব প্রমাণের চেষ্টা করি।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে অনেক সমন্বয়হীনতা আছে। অনেক সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রতিযোগিতা এত বেশি সৃষ্টি হয়ে যায় নিজের দলের মধ্যেই, সেখানে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। সেগুলো নিরসনে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।”
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, “চট্টগ্রামের রাজনীতি বিভক্তির কারণে যে অবস্থায় গেছে সেখান থেকে উদ্ধার পেতে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। আশা করি, আপনি সব বিবেচনা নিয়ে এগিয়ে যাবেন।”
সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক নেতা অনিন্দ্য টিটু, রতন কান্তি দেবাশীষ ও সবুর শুভ।