নগরীর বাকলিয়া থানার মাস্টারপুল বৌ বাজার এলাকা থেকে বুধবার মো. নুরুন্নবী (৪৮) নামে এই অটো রিকশা চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলের, নুরুন্নবীকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুলশী থানা এলাকা থেকে ১০ দিন আগে চুরি করা একটি অটো রিকশাও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে রাখা অটো রিকশা চুরি করতেন নুরুন্নবী। এই ধরনের চুরিতে তার সঙ্গে মাইনুদ্দীন নামে আরও একজন অটো রিকশা চালক জড়িত আছেন।
“অনেক চালক আছেন, যারা নিজের কিংবা মালিকের বাসার সামনে অটো রিকশা রেখে খেতে কিংবা কাজে যান। সে ধরনের অটো রিকশাগুলো টার্গেট করতেন নুরুন্নবী ও তার সহযোগী মাঈনুদ্দীন।
“তারা নিজেদের অটো রিকশা নিয়ে সেই টার্গেট করা অটো রিকশার সামনে রাখখেন। সুযোগ বুঝে নিজের অটো রিকশার পেছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে টার্গেট করা অটো রিকশাটি নিয়ে সটকে পড়তেন। কেউ কিছু জানতে চাইলে পেছনের অটো রিকশাটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেঁধে নেওয়া হচ্ছে বলে জানাতেন তারা।”
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আরেফিন নগর এলাকায় এক চালক একটি ভবনের সামনে অটো রিকশা রেখে ভাত খেতে যান। বিকালে এসে দেখেন তার অটোরিকশা নেই। পরে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাস করে জানতে পারেন, অন্য একটি অটো রিকশার সঙ্গে বেঁধে তার অটো রিকশাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
“অভিযোগ পেয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পরে অনুসন্ধানে মাস্টারপুল বৌ বাজার এলাকায় নুরুন্নবীর খোঁজ মেলে।
“তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে চুরির কথা স্বীকার করে এবং তার সহযোগী মাঈনুদ্দীনের তথ্য জানায়। পরে নুরুন্নবীকে নিয়ে খুলশী থানার সেগুন বাগান ৫ নম্বর সড়কে মাঈনুদ্দীনের বাসায় অভিযান চালানো হয়।”
সেখানে মাঈনুদ্দীনকে পাওয়া না গেলেও ১২ সেপ্টেম্বর চুরি করা অটো রিকশাটি পাওয়া যায়। আর চুরির কাজে ব্যবহার করা নুরুন্নবীর অটো রিকশাটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।