বুধবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ফারুককে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
বাদীর আইনজীবী বদরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার জাহানের আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেখান থেকে বিচারিক আদালত নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।”
আসামি মো. ফারুক এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
ফারুক চান্দগাঁও খাজা রোডের কসাইপাড়া এলাকার মো. সিরাজের ছেলে।
গত বছরের ২৪ অগাস্ট রাতে চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকার বাসা থেকে পুলিশ গুলনাহার বেগম (৩৫) ও তার আট বছর বয়েসী সন্তান রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গুলনাহারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ময়ূরী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঘটনার রাতে ময়ূরী বাসায় এসে মা-ভাইয়ের লাশ দেখতে পান।
ঘটনার পরদিন গুলনাহারের মেয়ে ময়ূরী বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন ফারুককে আসামি করে।
অর্থ লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে গুলনাহার বেগম ও তার ছেলেকে ফারুক হত্যা করেন বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পর গত বছরের ১ অক্টোবর নগরীর আকবরশাহ থানার পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গুলনাহারের বাসায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন ফারুক। গুলনাহার বিভিন্ন খাওয়ার তৈরি করে দিতেন, আর ফারুক সেগুলো বিক্রি করতেন। ব্যবসার টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল বলে র্যাব জানায়।