পেশায় বাসচালক, চুরি করেন মোটরবাইক

একটি মোটর সাইকেল চুরির তদন্ত করতে গিয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ এক বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি রীতিমত মোটরবাইক চুরির একটি চক্র গড়ে তুলেছিলেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2021, 01:42 PM
Updated : 20 Sept 2021, 01:42 PM

মো. জাবেদ নামের ২৭ বছর বয়সী ওই বাসচালককে রোববার গভীর রাতে পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে চুরি দুটি মোটর সাইকেলও পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত ২৭ অগাস্ট পতেঙ্গার চরপাড়ার একটি ভবনের গাড়ি রাখার জায়গা থেকে ইয়ামাহা এফজেডএস মডেলের একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয় থানায়।

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পতেঙ্গা এলাকা থেকে জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুরি যাওয়া ওই মোটরসাইকেলটি তার কাছেই পাওয়া যায়, কিন্তু সেটার তেলের টাংক ছিল না, আর নম্বর প্লেটও ছিল ভিন্ন। 

ওসি কবির বলেন, জাবেদ ওই মোটর সাইকেলে ‘কক্সবাজার ল ১১-৮২০৯’ নম্বরের অন্য একটি মোটর সাইকেলের নম্বর প্লেট লাগিয়ে রেখেছিলেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কদমতলীর একটি গ্যারেজ থেকে মোটর সাইকেলের ট্যাঙ্কটি উদ্ধার করা হয়। সেটা সেখানে দেওয়া হয়েছিল রং পাল্টানোর জন্য।

পতেঙ্গা থেকে চুরি করা মোটর সাইকেলটিতে যে নম্বর প্লেটটি জাবেদ লাগিয়েছিলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কর্ণফুলী থানার সিইউএফএল এলাকা থেকে ওই নম্বরের আসল মোটর সাইকেলটিও উদ্ধার করে পুলিশ।

সিইউএফএল এলাকা থেকে যে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়, বিআরটিএতে খোঁজ নিয়ে তার মূল মালিকের সন্ধান পাওয়া যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায়। তবে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কয়েক হাত বদল হয়ে সেটি মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল।

ওসি বলেন, “জাবেদ বাস চালানোর পাশাপাশি নিজস্ব একটি চক্র তৈরি করেছে। ওই চক্রে আছে ইসমাইল নামে কক্সবাজারের এক ব্যক্তি।”

পুলিশ বলছে, পেশায় বাস চালক জাবেদ বিভিন্ন এলাকায় কোন কোন মোটর সাইকেল পার্ক করে রাখা হয়, তার ওপর নজর রাখেতন। পরে সুযোগ বুঝে চুরি করা হত সেই মোটর বাইক।

“চক্রের কয়েকজন সিসি ক্যামেরা আড়াল করে দাঁড়িয়ে থাকত। আর অন্যরা তালা কেটে কিংবা লক ভেঙে মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যেত। পরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্যারেজে নিয়ে ইঞ্জিন, চেসিস ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাল্টে ফেলা হত,” বলেন ওসি।

তিনি জানান, অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব চোরাই মোটর সাইকেল বিক্রি করত এই চক্রটি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণরা।