মির্জা ফখরুলের ‘বিজয়ের আশা’ হাস্যকর: হাছান

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আন্দোলনের ডাকে মানুষের ‘ঝাঁপিয়ে পড়ার’ আশাকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচণ্ডভাবে সমালোচিত।

“যেই দলের এই অবস্থা সেই দলের মহাসচিবের হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ার বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোনো একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।”

শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি ‘বিজয়ের আশা’ দেখছেন। আন্দোলন শুরু হলেই মানুষ তাঁতে ঝাপিয়ে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর প্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “ওনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি কিংবা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড় থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে।

“আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব জেগে জেগে যে স্বপ্ন দেখেন, এবং প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলেন, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তার এই বক্তব্য।”

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে ব্যবহার হওয়া ট্রান্সমিটারটি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ বেতারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

“যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেখানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে একটা ছোট্ট যাদুঘর করে রাখা হবে। যেখান থেকেই এই ট্রান্সমিটার দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানেই থাকা বাঞ্ছনীয়।”

স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বেতার কেন্দ্র থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান।

“কালুরঘাটে যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয়েছিল ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউজে রাখা হয়েছে। এই ট্রান্সমিটারটা আগে যেখানে ছিল, সেই কালুরঘাট বেতারের ট্রান্সমিশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য, ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে এনে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায়।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেডিও যেমন অনন্য ভুমিকা রেখেছে একইভাবে দেশ গঠনেও রেডিও অনন্য ভুমিকা পালন করে চলেছে। বিশেষ করে কৃষি ভিত্তিক অনুষ্ঠান, জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণসহ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানমালা গুলো মানুষ শুনে অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করে।

“রেডিও যাতে দেশ গঠনে, দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য রেডিওর উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”

মতবিনিময় সভায় বেতারের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপ বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

আন্দোলনে ‘বিজয়ের আশা’ দেখছেন, বললেন ফখরুল