বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর পাহাড়তলী, খুলশী, হালিশহর, বন্দর থানা এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় আবুল খায়ের স্টিল মিল এলাকা থেকে লোহা তৈরির কাঁচামালবোঝাই একটি ট্রাক থেকে আবুল হাশেম (১৯) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নগরীর সদরঘাট থেকে পিগ আয়রন (লোহা তৈরির কাঁচামাল) নিয়ে এলাকায় আবুল খায়ের স্টিল মিল যাওয়ার পথে ট্রাকটি ডাকাতের কবলে পড়েছিল এসময় হাশেমকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে চালকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে নগরীর আকবর শাহ থানায় মামলা করা হয়।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এর পর টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে লুট করা ৩০০ কেজি পিগ আয়রন উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
ওসি জহির জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রকি মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আর অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ওসি বলেন, “এ চক্রটি মহাসড়কে চলাচলকারী লোহা ও লোহার কাঁচামাল বোঝাই ট্রাকে মালামাল লুট করে। ঘটনার দিন তারা মোট ১১ জন মিলে একটি ম্যাক্সিমা অটো টেম্পু নিয়ে ট্রাকটি অনুসরণ করে। সিটি গেইট পাড় হয়ে গ্ল্যাসকো গেইটের কাছে ট্রাকে লোহার টুকরো নিক্ষেপ ও চালককে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে থামাতে বাধ্য করে। পরে ছয়জন ট্রাকে উঠে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।”
ওসি জহির বলেন, “তারা একেকজন এক এক ভাগে কাজ করেছে। তবে হাশেমকে কে খুন করেছে, সেটি কেউ স্বীকার করেনি। তাই তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।”
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ খুন হওয়া যুবক হাশেমকে পরিবহন শ্রমিক জানালেও ওসি জহির জানান, নিহত হাশেম পরিবহন শ্রমিক নন। ট্রাকে মালামাল আনা নেওয়ার সময় পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সানি ট্রেডার্সের কর্মী ছিলেন হাশেম।