বৃহস্পতিবার সকালে মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া সাহেরখালী থেকে তাদের আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
তাদের মধ্যে- দুইজন পুরুষ, চারজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরসরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) দীনেশ চন্দ্র দাশ গুপ্ত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আটক রোহিঙ্গারা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে ভাসানচর থেকে পালিয়ে সাহেরখালী ইউনিয়েনে সাগর তীরে এসে নামে। সেখানকার লোকজন তাদের দেখে পুলিশকে জানায়।”
পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক দীনেশ।
গত বুধবার সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর থেকে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে আট জন পুরুষ, চার জন নারী ও সাতজন শিশু।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি অংশকে ভাসানচরে রাখার জন্য সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে কয়েক দফায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ভাসানচরের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পালিয়ে টেকনাফে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের অনেকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে।