তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির

মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে অভিযোগ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2021, 02:55 PM
Updated : 6 Sept 2021, 02:55 PM

চট্টগ্রাম সফরে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরাতন জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নানা বক্তব্য দেন।

সোমবার সন্ধ্যায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এক বিবৃতিতে জিয়া পরিবার ও জিয়া জাদুঘর সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন’ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিএনপি নেতাদের বিবৃতিতে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য ‘ক্ষমা চাওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতারা আজ কেন শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলছে? কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজ বিষয় হচ্ছে করোনার টিকায় অনিয়ম, নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট ও বিদেশে অর্থ প্রাচার।

“চার ভাগ মানুষকেও এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি। সরকার লকডাউন দিয়ে তা কার্যকর করতে পারে না। হাজার কোটি টাকা বিলি করলেও তা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসব লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে।”

বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্কর বিবৃতিতে বলেন, “রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে মন্ত্রী হওয়া এসব দুর্বৃত্তরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্য সম্পর্কে কথা বলার কোন যোগ্যতাই রাখেন না। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্যই এই আবাল মন্ত্রীরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন।

“তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। জিয়া ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বিষোদগার করে মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলেও গণধিকৃত হবেন। সময় বেশি দূরে নয় এসব মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবেনা।”

বিএনপি নেতারা বলেন, “একজন মন্ত্রীর কথা বার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। কারণ রাতের আঁধারে তারা ভোট চুরি করে হোক আর লুঠ করে হোক, মন্ত্রী হয়ে গেছে। তাদের কাছে নতুন প্রজন্মের নাগরিকরা শালীন ও শিষ্টাচার আচরণ দেখতে চায়।

“জনগনের অর্থ লুন্ঠনকারীরা প্রতিদিন বিএনপিকে দুঃস্বপ্ন দেখে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে বাঘের মতো ভয় পায়। তাই তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের ভয় তাড়াতে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে জিকির তোলে।”

তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পাঠ করার অনুরোধ জানান বিএনপি নেতারা।