মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির সামনের সড়ক ও উঠানেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আমীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েক বছর ধরেই ভারি বৃষ্টিতে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এবারও পানি উঠেছে। গত মাসে একবার পানি ওঠার পর দু’দিন ছিল।”
বৃহস্পতিবারও ভারি বর্ষণে বন্দর নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমে ছিল। সোমবার রাতে আবার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়।
রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত চলে সেই বৃষ্টি। তবে এরপর আর বৃষ্টি হয়নি।
দুপুরে বহদ্দারহাট ছাড়াও মুরাদপুর, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার, ডিসি রোড, বাকলিয়ার বিভিন্ন অংশ, আগ্রাবাদসহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
এসব এলাকার মূল সড়কে থাকা গোড়ালি সমান পানি ডিঙিয়ে পথচারী ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছিল।
তবে বিকালের মধ্যে বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে যায়।
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই বেশিরভাগ বাসার নিচতলায় পানি ঢুকে যায়। আজও ঘরে ঘরে পানি ঢুকেছে। লকডাউনের মধ্যে খুব কষ্টে আছি।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর সন্ধ্যা ৬টায় যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দিয়েছি, তাতে দেখা যায় আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা সারাদেশে সর্বোচ্চ।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের উপস্থিতি এবং সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।